বিশ্বে অগ্নি-দুর্ঘটনায় শীর্ষে ঢাকা শহর- এরকম একটি খবর ৩০ মার্চ (শনিবার) প্রকাশ করেছে বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন সময়।
খবরের শিরোনাম ও প্রথম বাক্যে ঢাকার শীর্ষে থাকার কথা বলা হয়।
যদিও খবর প্রকাশের পর ‘শীর্ষ’ শব্দটি বদলে করা হয় ‘দ্বিতীয়’। তবে গুগল সার্চে টেলিভিশন স্টেশনটির প্রথম প্রকাশিত শিরোনামটি পাওয়া যাচ্ছে।
শীর্ষ/দ্বিতীয় যাই হোক না কেন এর পক্ষে খবরটিতে কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্বজুড়ে অগ্নি-দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করে থাকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসেস-সিটিআইএফ। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮ সালে প্রকাশিত অগ্নি-দুর্ঘটনা বিষয়ক পরিসংখ্যানে প্রথম বা দ্বিতীয় কোনো অবস্থানেই ঢাকা বা বাংলাদেশ নেই।
সিটিআইএফের প্রতিবেদনটিতে ৫০টির বেশি দেশের অগ্নি-দুর্ঘটনা ডেটা পাওয়া যায়। প্রায় সবগুলো দেশের ক্ষেত্রে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ডেটা সংযোজিত হয়েছে প্রকাশনাটিতে।
প্রতিষ্ঠানটির তালিকা অনুযায়ী বছরে ৫০ হাজারের কম অগ্নিকাণ্ড হয় এমন ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
সময় টিভির খবরের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়: “২০১৮ সালে সারা দেশে ৮ হাজার ৪৬১টি আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৮টি দুর্ঘটনাই ছিল ঢাকায়।”
এই ‘ঢাকা’ কি ঢাকা শহর? কিংবা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন? বা ঢাকা জেলা? তা সময় টিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। তবে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডেটা অনুযায়ী এই ‘ঢাকা’ হলো ঢাকা বিভাগ।
ঢাকা বিভাগে জেলা রয়েছে ১৩টি। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বিভাগের অগ্নিকাণ্ডের ডেটায় এই ১৩ জেলার অগ্নিকাণ্ডগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা।
ফলে ২,০৮৮ অগ্নিকাণ্ডের সবগুলো ঢাকা জেলা বা ঢাকা শহর বা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার নয়।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড কোথায়?
সিটিআইএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের দেশগুলো দেখে নিন নিচের গ্রাফে:একই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালে লাখের কম অগ্নিকাণ্ড হয়েছে এমন দেশ আটটি। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ২০১৫ সালে লাখের ওপরে ছিল।
২০১৬ সালে ১০ হাজারের অগ্নিকাণ্ড হয়েছে- প্রতিবেদনে এমন দেশ পাওয়া গেছে নয়টি।