বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানে না, তাই লকডাউন দিয়ে লাভ নেই- এমন কথাও নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে বারবার। অনেকে লকডাউন অনুশাসন মানেন না, তা ঠিক। তাই বলে লকডাউন কি করোনা সংক্রমণ কমানোয় কোনো ভূমিকা রাখে না বাংলাদেশে? দেখা যাক নিচের লেখচিত্রে:
লেখচিত্রটিতে গত ৫ই এপ্রিল থেকে ১৩ই মে পর্যন্ত সময়ের লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দফা লকডাউন চলমান সময় সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার ছিল ১৮ শতাংশ; লকডাউন চলার ১০ দিন পর দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ছিল ১৩ শতাংশ।
একইভাবে দ্বিতীয় দফা লকডাউনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হার ছিল ১৪ শতাংশ; লকডাউন চলার ১০ পর সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ছিল ৯ শতাংশ।
বাস চলা না-চলা
লকডাউনে কি বাস চলতে দেয়া উচিত? নাকি গণপরিবহন অর্থাৎ বাস বন্ধ রেখে লকডাউন চালিয়ে উচিত?
এই প্রশ্ন মাথায় রেখে বাস চালু থাকার সময়কে ভিত্তি ধরে শনাক্তের ডেটা বিশ্লেষণ করেছে ডেটাফুল।
বাস চালু থাকা অবস্থায় ৭ দিনের ডেটা বিশ্লেষণ দেখা যায়, এসময় কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের হার ১০ শতাংশের ঘরে থেকেছে। তবে বাস চালু থাকার ৭ দিন পরের ডেটায় দেখা যায় শনাক্তের হার ৭ দিনের মধ্যে ৬ দিনই ২০ শতাংশের ঘরে।
একইভাবে বাস বন্ধ থাকার সময়কে ভিত্তি ধরেও ৭ দিনের শনাক্তের হার বিশ্লেষণ করে দেখেছে ডেটাফুল।
এতে দেখা যায়, বাস বন্ধ থাকা সময়ে শনাক্তের হার সবদিনই ২০ শতাংশের বেশি। তবে ৭ দিন বাস বন্ধ থাকার পর থেকে শনাক্তের হার ক্রমশঃ কমতে থাকে।
চলমান লকডাউন শেষ হতে পাঁচ দিন বাকি। এরই মধ্যেই পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। লকডাউনের বাকি পাঁচ দিন এভাবেই চলবে।