বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৭৯টি। এর ১০ হাজার ৯৯৪টিতে (৬৫%) কর্মীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেই। বাকি ৬ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র তাদের কর্মীদের জন্য চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
মোট সেবাকেন্দ্রের ১০ হাজার ২৯১টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিক সেন্টার), ৪ হাজার ৪৫২টি হাসপাতাল, ১ হাজার ৩৯৭টি ক্লিনিক এবং ৮৩৯টি ডেন্টাল ক্লিনিক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৮৬% ডেন্টাল ক্লিনিকে নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির ৭০% তাদের কর্মীদের চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেয়নি।
তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলির অবস্থা তুলনামূলক ভাল। এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে ৭২ শতাংশেই আছে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা বা নির্দেশিকা।
প্রশিক্ষণের মতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাতেও এগিয়ে আছে বেসরকারি হাসপাতাল। ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোট ৪,৪৫২টি হাসপাতালের মধ্যে ৩,৫৮৯টিতে (৮০.৬২%) আছে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাতে পিছিয়ে আছে বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিক।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা বর্জ্য সৃষ্টি হয়। যা বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ, পৃথকীকরণ, শোধন, সংরক্ষণ এবং অপসারণ করা অপরিহার্য। এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নির্দেশিকা বা দলিল থাকা উচিত এবং তা কার্যকর করতে কর্মীদের চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি।
কত বর্জ্য সৃষ্টি হয়?
ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে বছরে মোট ৬৭ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন বর্জ্য তৈরি হয়। যার মধ্যে সাধারণ বর্জ্যের পরিমাণই প্রায় ৩৭ হাজার মেট্রিক টন, যা মোট বর্জ্যের ৫৫%।
সাধারণ বর্জ্য ছাড়া, চিকিৎসা বর্জ্যের মধ্যে সবচে বেশি ৬,৩৪০ মেট্রিক টন (৯.৪৪%) বর্জ্য সৃষ্টি হয় প্যাথলজিক্যাল। ফার্মাসিউটিক্যাল বর্জ্য সৃষ্টি হয় প্রায় ৫৪১৪.৪৭ মেট্রিক টন (৮%)।
মোট চিকিৎসা বর্জ্যের ৬৫.১৭% সৃষ্টি হয় হাসপাতালে, ২৭.২০% ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, ৬.৪৫% ক্লিনিকে ও ১.১৯% ডেন্টাল ক্লিনিকে।