ডেটা যেখানে মানুষের কাছাকাছি

শিশুকে বুকের দুধ দেয়া কমেছে, সবচেয়ে পিছিয়ে ঢাকা

শেয়ার করুন

বাংলাদেশে শিশুর জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ১০ বছরে কমেছে। সামগ্রিকভাবে ১০ বছরে এই হার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।

মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের ডেটা অনুযায়ী, দেশে ২০১৯ সালে জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান ৪৬.৬ শতাংশ মা। ২০০৯ সালে এই হার ছিল ৫০.২ শতাংশ। ১০ বছরে তা কমেছে ৩.৬ শতাংশ।

একই সময়ে নগরে এই হার কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে নগরে শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৪১ শতাংশ। অথচ ১০ বছর আগে (২০০৯ সালে) এই হার ছিল ৫০.৪ শতাংশ।

জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কমেছে গ্রামেও (প্রায় ২ শতাংশ)।

২০১৯ সালে গ্রামে শিশু জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ান ৪৮.১ শতাংশ মা। ২০০৯ সালে এই হার ছিল ৫০.২ শতাংশ।

সিলেটে বেড়েছে, ঢাকায় কমেছে

বিভাগওয়ারি ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ১০ বছরে বেড়েছে সিলেট ও বরিশালে। বাকি বিভাগগুলোতে তা নিম্নমুখী।

২০০৯ সালে সিলেটে এ হার ছিল ৫৯.১ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫.৩ শতাংশে। এই ১০ বছরে বেড়েছে ১৬.২%। এ সময়ে বরিশালে এ হার বৃদ্ধি পায় ৪.৩ শতাংশ।

কমে যাওয়া বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে ঢাকা বিভাগে।

ঢাকায় ২০০৯ সালে এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ছিল ৫১.৭ শতাংশ, ২০১৯ সালে কমে তা নেমে আসে ৩৭.১ শতাংশে। ১০ বছরে এ হার কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশের কাছাকছি। এসময় খুলনায় কমেছে ১১.২ শতাংশ।

সে হিসেবে ২০১৯ সালে ঢাকা বিভাগে (৩৭.১%) জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ছিল সিলেট বিভাগের অর্ধেক।

২০১৯ সালে সিলেটের পরের অবস্থানে ছিল রংপুর ও বরিশাল বিভাগ। এই দুই বিভাগে এ হার ৫৬ শতাংশের কাছাকাছি। এ বছর ময়মনসিংহে তা ছিল ৫০.৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ময়মনসিংহ ছিল ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত এবং রংপুর ছিল রাজশাহী বিভাগে।

বিশ্বজুড়ে নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিবছর ১ থেকে ৭ আগস্ট ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *