বাংলাদেশের ১৬ হাজার ১৪০টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১৩ হাজার ২৯৯টিতে অগ্নি সংকেতের ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ এই সেবাকেন্দ্রগুলির কোনোটির একটি কক্ষে বা স্থানে আগুনের সূচনা হলে তা ভবনের সবাইকে সংকেতের মাধ্যমে জানানোর সুযোগ নেই।
মোট সেবাকেন্দ্রের ১০ হাজার ২৯১টি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিক সেন্টার), ১ হাজার ৩৯৭টি ক্লিনিক এবং ৪ হাজার ৪৫২টি হাসপাতাল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, তাপমাত্রার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড শনাক্তের তাপ শনাক্তকারী (হিট ডিটেক্টর) যন্ত্র নেই ৯০ শতাংশের বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এই সেবাকেন্দ্রগুলির ৯০ শতাংশে ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্রও নেই।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ক্ষেত্রে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলির অবস্থা অগ্নিকাণ্ড শনাক্তকরণ যন্ত্রের তুলনায় ভাল। মোট ১৬ হাজার ১৪০টি সেবাকেন্দ্রের ১০ হাজার ৯১৮টিতেই অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে পিছিয়ে ক্লিনিকগুলি। ১ হাজার ৩৯৭টি ক্লিনিকের ৪৬ শতাংশে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই।
জরিপ অনুযায়ী, হাসপাতাল হলো সেই চিকিৎসা সুবিধা/অবকাঠামো যা রোগিদের থাকার সুবিধাসহ চিকিৎসাসেবা দেয়। ক্লিনিক হলো বহিরাগত রোগিদের সেবা ও পরামর্শ দেয়ার চিকিৎসাকেন্দ্র। আর রোগ নির্ণয়কেন্দ্র বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো যেখানে পেশাদার চিকিৎসক বা সাধারণ জনগণকে রোগ নির্ণয় সংশ্লিষ্ট সেবা দেয়া হয়।