ডেটা বিশ্লেষণটি তৈরি করেছেন জগলুল কামাল। ডেটাফুল আয়োজিত ডেটাভিত্তিক জলবায়ু প্রতিবেদন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার পর তিনি এটি তৈরি করেন। বিশ্লেষণটি সময় টেলিভশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ হয়েছ।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে অনেকে চেনেন ঘনবসতি, তীব্র যানজট এবং দূষিত বাতাসের শহর হিসেবে। বছরের পর বছর ধরে শহরটি কেবল বেড়েই চলেছে। তবে শহরটির সঙ্গে সবুজের কোনো যোগসূত্র নেই দু-একটি বিচ্ছিন্ন পার্ক বাদে।
ভৌগোলিক অবস্থান এবং ব্যাপক দালানকোঠার কারণে শহরটি দেশের সবচেয়ে উষ্ণ শহরে পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক অবস্থান বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের বাস অযোগ্য শহরের শীর্ষ সাতে জায়গা করে নিয়েছে চলতি বছর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, গত বছরের এপ্রিলে ঢাকার গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পক্ষান্তরে জানুয়ারি মাসটা ছিল তুলনামূলক সহনীয়। সে মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে চলতি মাসে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছিল সাড়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রা ১৯৮৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নের অনেকটা কাছাকাছি। এর আগে ১৯৮৯ সালে ঢাকার তাপমাত্রা নেমেছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ওপেন ডেটাবেজড ইনফরমেশন হাব ডেটাফুল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্যের তুলনামূলক পর্যালোচনা করে বলছে, বিগত তিন বছরে জানুয়ারি মাসের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৫ সালে জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পরের বছর সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং তার পরের বছর জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরের বছর তা আবারও বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তাপমাত্রা পরিবর্তনের এই ধারাবাহিকতার সময়ে কে জানে, ২০২৩ সালে কী হতে যাচ্ছে?