গত ২৬শে মার্চ দেশে ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পড়ালেখা চলমান থাকা না-থাকার বিষয়টি আলোচনায়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ভর্তি ও পরীক্ষা নিতে পারবে। ৭ মে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি জরিপ করেছে ডেটাফুল। অনলাইন এই জরিপটি গত ২৩শে এপ্রিল শুরু হয়ে ৩রা মে শেষ হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রভাব শিরোনামের এই জরিপে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩১৭ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে জরিপে অংশ নেন।
১২ সেমেস্টারের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব
প্রথম থেকে দ্বাদশ সেমেস্টারের শিক্ষার্থীরা জরিপে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় অংশ প্রথম সেমেস্টারের।
নতুন সেমেস্টারে নিবন্ধন
জানতে চাওয়া হয়, করোনার ছুটির পর নতুন সেমেস্টারে নিবন্ধন পেছাতে পারেন কি না। জরিপ অনুযায়ী, ৪৩% শিক্ষার্থী নিবন্ধন পেছাতে চান।
অনলাইনে ক্লাস
করোনার ছুটিতে ৭১% বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। ক্লাসের বাইরে থেকেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয়।
পরিবারের আয়
জরিপে অংশ নেয়া ৮৪% শিক্ষার্থী বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি তাদের পরিবারের আয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে।
কমাতে পারেন কোর্স সংখ্যাও
নতুন সেমেস্টারে কোর্সের সংখ্যা কমাতে চান ২৯% শিক্ষার্থী। নিবন্ধন পেছাতে চান না এমন শিক্ষার্থীরাও কোর্স কমানোর পক্ষে।
অনলাইন ক্লাসের সফটঅয়্যার
অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে গুগলের প্ল্যাটফর্ম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম জুম।