দেশে শপিং মল ও মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে তা বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনের ডেটা অনুযায়ী, গত বছর (২০২২) শপিং মল ও মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫৮৯টি।
সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে বঙ্গবাজারে ৩০৩.০৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি’র তদন্ত কমিটি। যা আগের ৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডেটা অনুযায়ী, ২০২২ সালে শপিং মল ও মার্কেটের আগুনে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। তার আগের দুই বছরের প্রতিবার এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা।
গতবছর (২০২২) অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতির পরিমাণ বিশ্লেষণ করলে দেখা দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় হাট-বাজারের আগুনে। এতে ক্ষতি হয় ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
সেবছর বাসা-বাড়ি ও আবাসিক ভবনের আগুনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতি হয় ৬৫ কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ বৈদ্যুতিক গোলযোগ
দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সবচে বেশি ঘটছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। গতবছর ৯,২৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। হার বিবেচনায় যা প্রায় মোট অগ্নিকাণ্ডের ৩৮.৪৮ শতাংশ।
ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে অগ্নিকাণ্ডের দ্বিতীয় প্রধান কারণ বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা। এই কারণে ২০২২ দেশে অগ্নিকাণ্ড হয় ৩,৮৭৮টি (১৬.০৮%)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবছর সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২৪,১০২টি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড় অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ৬৬।
আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড বেশি
২০২২ সালে বাসা-বাড়ি ও আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে সবচেয়ে বেশি। সেবার আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ৬,৫৫৮টি। এরপর বেশি আগুন লাগে গোশালা, খরের গাঁদায় (৩,৪৫৫টি)।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রান্নাঘর ও দোকান, মুদি, টংয়ে আলাদাভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ২ হাজারের বেশি।