বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ১৮ বছর আগের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের ৪৫ শতাংশ মেয়ে। ২০০১ সালে এ হার ছিল ৩২ শতাংশ।
একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞানে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২.৫ গুণ। মাধ্যমিকে ২০০১ সালে দেশে বিজ্ঞান বিভাগে মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল ৮৮ হাজার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ২৮ হাজারে।
১৮ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে মেয়েদের পাসের হারও। এ সময়ে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান পড়ুয়া মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। মাধ্যমিকে ২০১৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া মেয়েদের পাসের হার ছিল ৯৪.১ শতাংশ। যেখানে ২০০১ সালে এই হার ছিল ৪৯.২ শতাংশ।
বেশি বেড়েছে সিলেটে বোর্ডে, কম চট্টগ্রাম বোর্ডে
বোর্ডভিত্তিক ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া মেয়েদের হার ১৮ বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সিলেট বোর্ডে (১৮.২%)। ২০১৮ সালে মাধ্যমিকে সিলেট বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞানে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫০ শতাংশই ছিল মেয়ে।
তবে, এই হার সবচেয়ে কম বেড়েছে চট্টগ্রাম বোর্ডে। একই সময়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে তা বেড়েছে ৯.৯ শতাংশ।
এ সময় ঢাকা বোর্ডে মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞানে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার বেড়েছে ১০ শতাংশ। যশোর ও রাজশাহীতে এই হার বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সালে । ১০ বছরে দিনাজপুর বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ হার ছিল ৪২.১ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (ব্যানবেইস) সর্বশেষ ২০২০ সালের স্কুল সম্পর্কিত রিপোর্টের ডেটা মতে, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে (৯ম ও ১০ম শ্রেণি) বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে ৫ লাখ মেয়ে শিক্ষার্থী। যা মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪৯ শতাংশ।