বাংলাদেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়াল ২৬ অক্টোবর। এতে সময় লেগেছে ২৩৩ দিন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বে ৪ লাখের বেশি কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে এমন দেশের সংখ্যা ১৯। ৪ লাখ শনাক্ত নিয়ে এ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক নিচেই অবস্থা করছে ইন্দোনেশিয়া।

বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ। এপ্রিল মাস থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে পরীক্ষার সংখ্যা। সাথে বৃদ্ধি পায় শনাক্ত রোগি।
জুন মাসের শেষের দিকে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা পৌঁছায় সর্বোচ্চ ১৮ হাজারে। তবে জুলাই থেকেই আবার কমতে শুরু করে পরীক্ষা। পরীক্ষার সংখ্যা কমার সাথে কমতে শুরু করে শনাক্ত রোগির সংখ্যাও।
সেপ্টেম্বরে দৈনিক পরীক্ষা হয় গড়ে প্রায় ১৩ হাজার, বিপরীতে গড় শনাক্ত ছিল ১,৭০০ জন। অক্টোবরে এসে এ হার আরো খানিকটা কমে যায়। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত দৈনিক পরীক্ষার গড় হার সাড়ে ১২ হাজার এবং দৈনিক গড়ে শনাক্ত হয় ১,৪০০।
শনাক্ত সংখ্যা বিবেচনায় এখনো সবচে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোলের ডেটা অনুযায়ী, ৪ লাখ শনাক্তে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্রে সময় লেগেছিল ৮০ দিন। শনাক্ত সংখ্যা ৪ লাখ হতে বাংলাদেশের চেয়ে ৯০ দিন কম সময় লাগে ভারতের (১৪৩ দিন)।
ব্রাজিলে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। ৪ লাখ শনাক্ত হতে ব্রাজিলের সময় লাগে ৯৩ দিন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট শনাক্ত প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ।
শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায়, শীর্ষ ৫ দেশের মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ শনাক্ত নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। ভারতের চেয়ে ২৫ লাখ কম শনাক্ত নিয়ে তিন নম্বরে ব্রাজিল (৫৪ লাখ)।
১৫ লাখ ও ১২ লাখ শনাক্ত নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে রাশিয়া এবং ফ্রান্স। এই দুই দেশের ৪ লাখ করোনা শনাক্ত হতে সময় লেগেছিল যথাক্রমে ১২২ ও ২৩৭ দিন।

২৭ অক্টোবরের হিসেবে গত ৩০ দিনের ডেটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভারতে দৈনিক গড়ে শনাক্ত হয় ৬৫ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে গড় শনাক্ত ৫৪ হাজার।
রাশিয়া ও ফ্রান্সে গত এক মাসে প্রতিদিন শনাক্ত হয় গড়ে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ঠিক এ সময়ে বাংলাদেশে গড় শনাক্ত ছিল প্রায় দেড় হাজার।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে করোনা শনাক্তের প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও যুক্তরাষ্ট্রে তা আবার ঊর্ধ্বমুখী।